এ কলেজটি ১৯৭২ সালের ১লা জুলাই সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল হাকিম সাহেবের একান্ত পরিশ্রম ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় গড়ে উঠে। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে ততকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এর সহযোগীতায় কলেজ মাঠে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জনসভায় কলেজটি জাতীয় করনের ঘোষনা হয় ফলে ক্রমাগতভাবে আরেকদাপ এগিয়ে যায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ধীরে ধীরে অবকাঠামো সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক প্রসারিত হয়। একলেজে অধ্যয়ন করে বহু শিক্ষার্থী আজ প্রশাসনিক সহ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত আছেন।
|
|
২০০১ সালের নির্বাচনী জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত চার বিষয়ের অনার্স কোর্সটি গত ২০১৬ -২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ততকালীন সংসদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এর প্রচেষ্টায় চালুহয় আজ সেই কলেজটিতে পুরনো জরাঝির্ন টিনসেডে শিক্ষার্থীরা অধ্যায়ন করছে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে শ্রেনি কক্ষ গুলোতে বৃষ্টির পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের বই খাতা নষ্ট হচ্ছে। তার পাশাপাশি বছরের প্রায় ৯মাস কলেজ ক্যাম্পাসটি জলাবদ্ধতায় পরে থাকে পঁচা বাসি ও দুর্গন্ধ যুক্ত পানি অতিক্রম করে কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কলেজে প্রবেশ করতে হয়। গত ২০১৮ – ২০১৯ অর্থ বছরে অনুমোদিত কলেজের ৬তলা ভবনের উন্নয়ন কাজটিও যেন থমকে আছে যার কারনে কলেজের প্রশাসনিক কর্মকান্ড ও শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় হিমশিম খাচ্ছে।
|
স্থানীয় সরকারের নজরদারিতার অভাবে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস সামান্য বৃষ্টি হলেই পার্শ্ববর্তী এলাকার পানিতে তলিয়ে গেছে, এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দুর্গন্ধ ময়লা পানির উপর দিয়ে কলেজে প্রবেশ করতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের বই খাতা পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত বছর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে কলেজের শিক্ষার্থীরা বহু আন্দোলন সংগ্রাম ও প্রতিবাদ করে পরবর্তীতে বরুড়া উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মেয়র বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়।
|
পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম ও পৌর মেয়র জসীম উদ্দীন পাটোয়ারী কলেজ পরিদর্শন করেন, এবং পৌর মেয়র শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন আগামী একমাসের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে বলে জানিয়েছিলেন । এ ঘোষণার পর আজ এক বছর পুর্ন হল কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসন হলনা। তাই প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট শিক্ষার্থীদের আবেদন জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
|
|
বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর শিবতোষ নাথ এ কলেজের কর্ণধার রুপে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে অদ্যাবধি ক্লান্তিহীনভাবে কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে নানা দিক থেকে সাফল্যমন্ডিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
|